অগ্নিকন্যা রাখী দত্ত কিভাবে তার বাবাকে বাঁচালেন?

বাবার বয়স ৬৫। কিছুদিন ধরেই পেটে ব্যথা হতো, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে! কিন্তু কে দেবে লিভার? এগিয়ে এলেন একমাত্র মেয়ে রাখী দত্ত। বললেন, বাবার জন্য তিনি নিজের লিভারের অংশবিশেষ দান করতে প্রস্তুত! অবশেষে সেই সাহসী মেয়ের কারণেই নতুন জীবন পেলেন বাবা! জানুন রোমাঞ্চকর সেই গল্প।

বাবা-মেয়ের সম্পর্ক সবসময়ই একটু আবেগমাখা হয়ে থাকে। রাখী দত্তের ক্ষেত্রেও তাই ছিল। বাবার এমন কঠিন রোগ হয়েছে শুনে প্রথমে ভেঙে পড়েছিলেন রাখী। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় পুরো ব্যাপারটা ভেবে দেখেন। তার জীবনে বাবার প্রয়োজন আছে। বাবাকে অনেক ভালোবাসেন রাখী।

তাই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও বাবার জীবন বাঁচাতে নিজের লিভারের ৬৫% দান করতে এক কথায় রাজী হয়ে যান।
এরপর শুরু হয় জটিল এক অস্ত্রোপচারের আয়োজন। হায়দরাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাখীর বাবাকে। কলকাতা থেকে দুজন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ সেখানে উপস্থিত হয়ে এই জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন। সুস্থ হয়ে ওঠেন রাখীর বাবা। পেটে অপারেশনের গভীর চিহ্ণসহ বাবা-মেয়ের ছবি এখন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। ১৯ বছরের মেয়েটির দুর্দান্ত সাহস আর ভালোবাসার প্রশংসা না করে উপায় আছে?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *