নিলয় চক্রবর্তী : পুষ্প রানী দাসকে ধর্ষণের পর হাত ও পায়ের সব আঙ্গুল কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গায়ে কেমিক্যাল ঢেলে দেয়া হয়……
পুষ্প দাশ তাঁর নিজ গ্রামের আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে সিরাজুলের পানের বরজে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন।২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন দাস মারা যাওয়ার পর থেকেই গত ৩ বছর ধরে পানের বরজে কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো গত ২০শে জুন দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন পুষ্প। বিকেল প্রায় সাড়ে ৫টার দিকে একই গ্রামের মহব্বত গাজীর মেয়ে দর্জি পারভিন খাতুনের কাছে ব্লাউজ আনতে যান তিনি। তাঁর কোন শত্রু ছিল বলে জানা যায়নি। পারভিন খাতুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তাঁর বাড়িতে অবস্থানকালীন পুষ্প দাসের একটি ফোন আসে। ফোন পেয়েই তিনি মোহনা বাজারে যাচ্ছেন এবং ফেরার পথে ব্লাউজ নিয়ে যাবেন বলে পারভিনের বাড়ি থেকে চলে যান। রাত সাড়ে সাতটার সময় থেকে পুষ্প রানীর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে, এ ঘটনায় পুষ্প রানী দাশের বড় ছেলে মহাদেব দাশ ২২ জুন স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরমধ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চলে নিখোঁজ পুষ্প রানী দাশের সন্ধানের, কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়না। গত ২৮ শে জুন শুক্রবার স্থানীয় বেল্লাল শেখ তাঁর নিজের পাট ক্ষেত দেখতে যান। সেখানে গিয়ে দুর্গন্ধ নাকে আসায় আরো ভিতরে গিয়ে এক নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে এসে তাঁর বড় ভাই রবিউলকে ডেকে নিয়ে যান। রবিউল, তার ভাই বেল্লাল, তাদের বাবা ওহাব শেখ, প্রতিবেশী মফিজুল শেখসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনেক সময় কুকুরে যেমন পাট ভাঙে তেমনি পাট ক্ষেত ভাঙা ছিল। একটি চেকের লুঙ্গির উপর এক পা ভাঁজ করা ও এক পা লম্বা অবস্থায় উলঙ্গ হয়ে পড়ে ছিলেন ওই মহিলা। একটি লুঙ্গির উপর তাকে রাখা হয়েছিল। দুই হাত ও দুই পায়ের সকল আঙুল কাটা ছিল। গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছে এমন চিহ্ন দেখা যায়। লাশ পঁচে গলে গেলেও মুখমন্ডলের এক পাশ ভাল থাকায় ও চুল দেখে পুষ্প রানীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। তবে তাকে অন্যত্র ধর্ষণের পর হাত ও পায়ের আঙুল কেটে গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে, এবং হত্যার পর তাকে যেন কেউ চিনতে না পারে সেজন্য শরীরে কেমিক্যাল দিয়ে সেই পাটক্ষেতে রেখে যাওয়া হয় বলে তারা ধারণা করছেন। সেই রাতেই পুষ্প রানী দাশের বড় ছেলে বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে, হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাগবা শ্মশানে তাঁর সৎকার করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামে। কি ভাষায় নিন্দা বা প্রতিবাদ জানাবো বুঝতে পারছিনা! সত্যিই আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি! এরকম পৈশাচিক বর্বরোচিত ঘটনায় যে বা যারা জড়িত দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।।
সাতক্ষীরা জেলার অন্তরগত তালা থানায় এক হিন্দু মহিলার গলিত লাশ উদ্দার করেছে পুলিশ । বাংলাদেশ মাই্নরিটি ওয়াচ ঘটনা তদন্ত করছেন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের পুষ্প রানী দাসকে ধর্ষণের পর হাত ও পায়ের সব আঙুল কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গায়ে কেমিকেল ঢেলে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মাই্নরিটি ওয়াচ হত্যা মামলার বাদী জয়দেব দাস (২৬) কে জিজ্ঞাশা করিলে তিনি বলেন মাকে অপহরনের একটি সাধরন ডাইরী করা হয়েছে থানায় ২০.০৬.২০১৯ তারিখ। কিন্তু থানার অফিসার ইন -চার্জ বলেন তিনি কোন ডাইরী লিপিবদ্দ করেন নি।
এদিকে পুষ্প রানীর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছেলে জয়দেব দাস বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে শুক্রবার রাতে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১০ তারিখ ২৮।.০৬.২০১৯ ধারা ঃ ৩০২/২-১/৩৪ দন্ড বিধি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে অদ্য তালা থানার অফিসার ইন চার্জ জনাব মেহেদী রাসেলের মোবাইল ফোনে (০১৭১৩৩৭৪১৪৩) যোগাযোগ করিলে তিনি বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ বে জানান যে হত্যাকারী দের অনতি বিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। তদন্তকারী অফিসার – প্রিতিশ রায় বলেন বাদী তার মাকে অপহরনের একটি সাধরন ডাইরী করা হয়েছে বলে থানায় যে অভিযোগ করেছে ঐ ডাইরীর কপি থানায় পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে শনিবার দুপুরে তালা উপজেলার বারাত গ্রামে গেলে চিত্তরঞ্জন দাস, মহাদেব দাস, পরিমল দাস, ভোলানাথ দাস, অরুন দাস, লক্ষীরানী দাসসহ কয়েকজন জানান, ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর মনোরঞ্জন দাস মারা যান। এরপর থেকে একই গ্রামের আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে সিরাজুলের পানের বরজে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন পুষ্প দাস। প্রতিদিনের ন্যয় ২০ জুন দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরে পুষ্প। বিকেল প্রায় সাড়ে ৫টার দিকে একই গ্রামের মহব্বত গাজীর মেয়ে দর্জি পারভিন খাতুনের কাছে ব্লাউজ আনতে যান তিনি। তার কোন শত্রুও ছিল না।
পারিভন খাতুন বলেন তার বাড়িতে অবস্থান করাকালিন পুষ্প দাসের একটি ফোন আসে। ফোন পেয়েই তিনি মোহনা বাজারে যাচ্ছেন এবং ফেরার পথে ব্লাউজ নিয়ে যাবেন বলে তাকে বলে চলে যান। রাত সাড়ে সাতটার সময় থেকে পুষ্প রানীর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বারাত গ্রামের বেল্লাল শেখ জানান, গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি নিজের পাট ক্ষেত দেখতে যান। সেখানে যেয়ে দুর্গন্ধ নাকে আসায় ভিতরে যেয়ে এক নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ি এসে বড় ভাই রবিউলকে ডেকে নিয়ে যান।
রবিউল, তার ভাই বেল্লাল, তাদের বাবা ওহাব শেখ, প্রতিবেশী মফিজুল শেখসহ কয়েকজন জানান, অনেক সময় কুকুরে যেমন পাট ভাঙে তেমনি পাট ভাঙা ছিল। একটি চেকের লুঙ্গির উপর এক পা ভাজ করা ও এক পা লম্বা অবস্থায় উলঙ্গ হয়ে পড়ে ছিলেন ওই মহিলা। একটি লুঙ্গির উপর তাকে রাখা হয়েছিল। দু’ হাত ও দু’ পায়ের সকল আঙুল কাটা ছিল। গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছে এমন চিহ্ন দেখা যায়। লাশ পঁচে গলে গেলেও মুখমন্ডলের এক পাশ ভাল থাকায় ও চুল দেখে পুষ্প রানীকে সনাক্ত করা যায়। তবে তাকে অন্যত্র ধর্ষণের পর হাত ও পায়ের আঙুল কেটে গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য শরীরে কেমিকেল দিয়ে এ পাটক্ষেতে রেখে যাওয়া হয় বলে তারা ধারণা করছেন।
তবে মোহনা বাজার ও যেখানে লাশ পাওয়া গেছে তার আশে পাশে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বারাত গ্রামের কার্তিক দাসের ছেলে গোপাল দাস মোবাইল ফোনে পুষ্পকে ডেকে এনেছিল। তবে গোপাল দাসের বাড়িতে গেলে বাবা মোবাইল ফোন মেরামত করতে গেছেন বলে তার ছেলে শুভঙ্কর দাস জানান। রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গোপাল দাসের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, শুক্রবার রাতে মৃতের বড় ছেলে জয়দেব বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যা বলে মনে করা হলেও ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ বা কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে নিহতের মোবাইল কললিষ্টের পাশাপাশি অনুসন্ধানকালে যেসব লোকের নাম সন্দেহজনক হিসেবে উঠে এসেছে তাদের মোবাইল কললিষ্ট ও যাচাই করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এর রহস্য উন্মোচন হবে বলে তিনি আশাবাদি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক র্যা ব কর্মকর্তা জানালেন তারাও ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছন। রহস্য উন্মোচন হতে সময় লাগবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে দর্জির বাড়িতে ব্লাউজ আনতে চেয়ে তালা উপজেলার বারাত গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের স্ত্রী পুষ্প রানী নাথ আর বাড়ি ফেরেননি। এ ঘটনায় তার বড় ছেলে মহাদেব ২২ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ২৮ জুন দুপুর দু’টোর দিকে পুলিশ বারাত গ্রামের অ্যাড. কেসমত আলীর ইজারা দেওয়া ওহাব শেখের পাট ক্ষেত থেকে পুলিশ পুষ্প রানীর গলিত লাশ উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাগবা শ্মশানে মৃতের সৎকার করা হয়।
বাংলাদেশ মাই্নরিটি ওয়াচ উক্ত লোমহ্শক ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন। অনতি বিলম্বে দোষী বাক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করার দাবী জানাচ্ছে।
MINORITY HINDU WOMEN TORTURED, RAPED AND KILLED ON 20.06.19 TO 28.6.2019. HER MUTILATED DEAD BODY FOUND IN A JUTE GARDEN ; BANGLADESH MINORITY WATCH INVESTIGATING.