পঞ্চগড় জেলা কারাগার মধ্যে অ্যাডঃ পলাশ কুমার রায়কে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে, আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসীরর দাবীতে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
মানব বন্ধনে বক্তাগণ বলেন কারাগার একটি নিরাপদ জায়গা। বাইরের কারো প্রবেশ করার সুযোগ নেই। সেকারণে কারা অভ্যন্তরে যা কিছু ঘটুক তার দায় দায়িত্ব কারাধ্যক্ষ ও সরকারের। ২৬ এপ্রিল কারা অভ্যন্তরে অ্যাডঃ পলাশ রায়ের শরীরে অাগুন দিয়ে পোড়ানো হলো, অথচ ১৫ দিন পার হলো আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হলো না; জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। সেকারনে দেশের মানুষ আজ চরম হতাশ।
বক্তাগণ বলেন মহামান্য হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। কাধ্যক্ষকে সহযোগীতা করতে বলেছেন, অথচ কারাধ্যক্ষ তো আসামী হওয়ার কথা, তাকে গ্রেফতার না করলে তিনি তদন্তকাজ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবেন বলে নেতৃবন্দ মনে করেন।
বক্তাগণ আরো বলেন পলাশ রায় মৃত্যু শয্যায় কারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের নাম বলে গেছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রফতার করছে না। এমনকি তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে না।
বক্তাগণ আরো বলেন ইতোমধ্যেই পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ও কারাধ্যক্ষ পৃথিবীর ইতিহাসের নজিরবিহিন ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতেরদ প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তারা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সে রকম কিছু বক্তব্যও দিচ্ছেন।
বক্তাগণ ২৬ এপ্রিল কারাগার মধ্যে ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের দিনটিকে ” কালো দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেন এবং প্রতি বছর এই দিনটি ” কালো দিবস” হিসেবে পালিত হবে বলে ঘোষণা দেন। একই সংগে পলাশ তার ডাইং ডিক্লিয়ারেশনে তাকে হত্যায় কোহিনুর কোম্পানী জড়িত থাকার কথা বলায় ” কোহিনূর কোম্পানীর সকল পন্য বর্জনের ঘোষণা দেন। বক্তাগণ আগামী ৭ দিনের মধ্যে পলাশ রায়ের ডাইং ডিক্লিয়ারেশনে বর্নিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার না করা হলে সারা দেশব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা করেন।