সংবাদ সম্মেলনে রথযাত্রায় সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি ইসকনের

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) উদ্যোগে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী রথযাত্রা মহোৎসব।

সরকারি ছুটি না থাকায় অনেকে রথযাত্রায় উৎসবে যোগদান করতে পারেন না। তাই বিশেষ এই দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ইসকন কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৩০ জুন) দুপুরে মন্দির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, সমাজে জাতিগত বিদ্বেষ রোধ করা, ধর্মীয় উন্মাদনা বন্ধ করা, বর্ণবৈষম্য বিলোপ ও বিশ্বভ্রাতৃত্ব রক্ষায় রথযাত্রার গুরুত্ব রয়েছে। আবহমান কাল ধরে এই বাংলায় রথযাত্রা একটি অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন উৎসব হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে আপামর জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও সরকারি ছুটি না থাকার কারণে অনেকে উৎসবে যোগদান করতে পারেন না। তাই সরকারের কাছে রথযাত্রায় সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে মঠ-মন্দির সংস্কার, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা, প্রতিটি উপজেলায় সরকারি অনুদানে কেন্দ্রিয়ভাবে মন্দির নির্মাণ, ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থানসমূহ সংরক্ষণ করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, এবারের রথযাত্রায় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠন মহাশোভাযাত্রায় যোগদান করবেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ভক্তরা যোগ দেবেন। ৯ দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন ভারতের শ্রীধাম বৃন্দাবন ইসকনের সন্ন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তি আশ্রয় বৈষ্ণব স্বামী মহারাজ ও শ্রীধাম মায়াপুরের শ্রীপাদ তারক কৃষ্ণ নাম দাস ব্রহ্মচারী। রথযাত্রার দিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মাঝে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ৩টায় ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে রথযাত্রা উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী  ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অতিথি থাকবেন সিএমপি কমিশনার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সুশীল সমাজের নেতা, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অতিথিরা। রথযাত্রা প্রবর্তক মোড় হতে আরম্ভ হয়ে চট্টেশ্বরী মোড়, কাজীর দেউড়ী, জামালখান, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট হয়ে হাজারী লেইনে শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রূপেশ্বর গৌরাঙ্গ দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস, উজ্জ্বল নীলাম্বর দাস, কিশোর শ্যাম দাস, নিত্যনারায়ণ দাস, কমলাকান্ত কৃষ্ণ দাস, উত্তমানন্দ নিতাই দাস, ব্রজেশ্বর গোপাল দাস, সুহৃদ গৌরাঙ্গ দাস, সিংহগ্রীব দাস, পুণ্ডরীক বাসুদেব দাস, প্রাণকৃষ্ণ দাস, অনুপ বৈদ্য প্রভু, সুচারু কৃষ্ণ দাস, সোমনাথ দাস, পাণ্ডব গোবিন্দ দাস, জগদার্তিহা দাস, রাধাকান্ত কৃষ্ণ দাস ও বিশ্বরূপ কৃষ্ণ দাস।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *