বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা কালেরকণ্ঠ তাদের অনলাইন নিউজে জানাচ্ছে যে, কুলাউড়ায় পলাশ শব্দকর (৯) নামে এক স্কুলছাত্রকে বলৎকারের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুই বখাটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাশ স্থানীয় শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র এবং কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বালিশ্রী গ্রামের রিকশাচালক পরিমল শব্দকরের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত বুধবার সকালে পরিমল শব্দকরের বাড়ির পাশে একটি জমিতে ধান রোপণ করছিল পলাশ শব্দকর। এ সময় প্রতিবেশী মিরজান আলীর ছেলে বখাটে জাহেদ মিয়া (১৫) তার ছেলেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পাওয়ায় সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পরিমল। কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহজাহান রাতে পলাশের বাড়িতে এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত একজন সাক্ষী দেন জাহেদ পলাশকে নিয়ে চা বাগানের ভেতরে গেলেও বিকেলে সে একা ফেরে। বখাটে জাহেদ তা অস্বীকার করলে সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান জাহেদকে তার পিতা মিরজান আলীর জিম্মায় দেন।
এদিকে থানায় নিখোঁজ সংবাদ লিখিত আকারে জানানোর পরও পুলিশ এ ঘটনায় কোনো তদন্ত না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তদন্তে গেলে এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে অভিযুক্ত জাহেদ ও তার সহযোগী রাহেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে জাহেদের দেওয়া জবানবন্দিতে দুপুরে উপজেলার কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে পলাশ শব্দকরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ বখাটে জাহেদের পিতা মিরজান আলীকেও গ্রেপ্তার করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।