ভোলায় ইসকন বন্ধে মুসলমান-হিন্দুদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে জানাচ্ছেন https://www.jubokantho.com নামে অনলাইন সংবাদমাধ্যম তাদের রির্পোটার কামরুজ্জামান শাহীন বলছেন –
ভোলায় বিরোধীয় জমিতে হিন্দু সংঘঠন ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে তৌহিদি জনতার ব্যানারে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসলামি সংঘঠনের নেতারা। অপর দিকে শহরের সার্কুলার রোডে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ ইসলামী নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি দিয়েছে হিন্দু নেতারা। এ ঘটনায় ভোলায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হিন্দু নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ভোলা শহরের সার্কুলার রোডে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে হিন্দু নেতারা বুধবার সকালে পরিস্থিতি জানতে ঘটনাস্থলে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। এছাড়া এর সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে পুরো জেলাব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ও দূর্গোউৎসব পালনের সকল আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দিবেন তারা।
এদিকে তৌহিদি জনতার ব্যানারে ইসলামী সংঘঠনের নেতার জানান, ইসকনের নামে গড়ে উঠা হিন্দু উগ্রবাদী এ সংঘঠনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে হরতাল অবোরোধসহ বৃহত্তর আন্দেলনে যাবে তৌহিদী জনতা। তারা ইসকনের সকল কার্যক্রম বন্ধ না করলে আগামী কাল থেকেই কঠোর কর্মসূচীতে যাবেন বলে হুশিয়ারী দেন।
এই ঘটনায় ভোলায় মুসলিম ও হিন্দু নেতাদের একে অপরের আল্টিমেটামে উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা জেলা জুড়ে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।
নিউজ ক্রেডিট – https://www.jubokantho.com/27223