বরিশাল জেলাধীন গৌরনদী থানার অন্তর্গত দক্ষিন মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর স্কুল ছাএ শিশু সৌরভ মন্ডল (১০) কে কতিপয় সন্ত্রাসী গত ১৫/০২/২০১৯
ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪:৩০ মিনিটের সময় নিষ্ঠুরভাবে শারিরিক নির্যাতন করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
সৌরভ তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে মাছ ধরার দৃশ্য দেখছিল। সৌরভ পুকুরের পশ্চিম পাড়ে থাকাবস্থায় আসামী বাহারুল মোল্লা ওরফে বেল্লাল ও ফারুক মাতুব্বর মাছধরার একপর্যায় সৌরভ মন্ডলের পরিহিত প্যান্ট খুলে দেয়। সৌরভ লজ্জায় তাকে গালাগালি করে, তখন বাহারুল ওরফে বেল্লাল মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভকে এলোপাথারী কিলঘুষী ও লাথি মারে। মারপিটের এক পর্যায়ে দুইহাত দিয়া গলার শ্বাসনালি চেপে ধরে এবং মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাত করে ভেঙে দেয়। নিহত সৌরভ মন্ডলের পিতা কার্তিক মন্ডল (৫৫) আমাদের বলেন “আসামীরা আমার ছেলের মাথায় ও মুখেসহ সারাশরীরে ডিজেল ঢেলে দেয় এবং আসামী বাহারুল ওরফে বেল্লাল ও ফারুক তাকে অমানুষিক অত্যাচার করে। পরবর্তীতে সৌরভের অবস্থা আশংকাজনক হলে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২/০২/১৯ ইং সে মারা যায়।
(sign of racial intolerance)
সৌরভের বাবা গৌরনদী থানায় দুইজন আসামীর নাম উল্লেখ করে ২৩/০২/১৯ ইং মামলা দায়ের করেন। (বাহারুল ওরফে বেল্লাল মোল্লা,পিতাঃ জবেদ মোল্লা ও ফারুক মাতুব্বর,পিতাঃ শাহালম মাতুব্বর) থানায় মামলা নং- ২৫/৫৭, ধারা- ৩০২/৩৪, এরা একে অপরের প্রতিবেশী। কিন্তু দুঃখের বিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ আমাদের তদন্তকাল পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
উপায়ান্তর না পেয়ে সৌরভের মা এবং মামা দেবাশিষ মন্ডল ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’র নিকট এক দরখাস্তের মাধ্যমে আবেদন করেন যে আসামীরা তার শিশুসন্তানকে মারার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। সেই কারনে সৌরভের মা মানবাধিকার কর্মী নিয়ে গৌরনদী থানায় আইনগত সহায়তার জন্য যায়।
দুঃখের বিষয় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম ছরোয়ার উল্টো ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’র সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ সহ আরও দুইজন মানবাধিকার কর্মী রসরাজ চৌধুরী ও দিলিপ কুমার রায়কে থানার মধ্যে অবৈধভাবে আটক করে সকাল ১১:০০ টা থেকে রাত ১০:৩০ মিনিট পর্যন্ত মানসিক নির্যাতন করে। সেইসাথে মোবাইলসেট ও ক্যামেরা ছিনতাই করে এবং প্রতারক বলে মিডিয়াতে প্রচার করে। পরবর্তীতে উর্ধতন পুলিশ অফিসারদের হস্তক্ষেপে মানবাধিকার কর্মীরা থানা থেকে ছাড়া পায়।
পরের দিন ০২/০৪/২০১৯ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শিশু সৌরভকে যেস্থানে বসে শারীরিক ও পৌশাচিকভাবে নির্যাতন করেছে সেস্থানের সাক্ষীদের জেরা করেন এবং সৌরভের স্কুল শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যেস্থানে সৌরভকে সমাহিত করা হয়েছে সেস্থান পরিদর্শন করেছেন কিন্তু সন্তানহারা মায়ের কান্না থামাতে পারে নি।
‘বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তিবিধান করার জোর দাবী জানাচ্ছে এবং মানবাধিকার কর্মীদের অবৈধভাবে থানায় আটক করে সকাল ১১:০০ টা থেকে রাত ১০:৩০ মিনিট পর্যন্ত মানসিক নির্যাতন করে মোবাইলসেট ও ক্যামেরা ছিনতাই করে এবং প্রতারক বলে মিডিয়াতে প্রচার করে হেয়প্রতিপন্ন করাকে চূড়ান্ত মানবাধিকার লংঘন বলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
ভিডিওতে সকল ডকুমেন্ট দেখুনঃ
FACT FINDING ON THE CRUEL MURDER OF A HINDU CHILD
( shourav Mondal ) and subsequent highhandedness of Md.Golam Sarwar- Officer in Charge of Gournadi police station detaining three human rights activists within the police station at Barishal District.
Bangladesh Minority Watch is very much concerned about cruel murder of Hindu child (Religious Minority) at Gournadi Barisal and also condemn this barbarous torture on this boy “SHOURAV MONDAL” BDMW also very much concerned about the police assault on the Human Rights Defenders within the Police station, detaining those three activists since 11 a.m. to 10.30 p.m. without any food. The camera belonging to Bangladesh Minority Watch and their mobiles sets were also seized for implication of false legal charges on them.